প্রকাশ: ৩ মে ২০২৫, ১৯:৩৬
টাঙ্গাইলের গোপালপুর শহর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান টগরকে অবশেষে আটক করেছে বিমানবন্দর পুলিশ। গতকাল সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতেই ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। টগরের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, টগর সৌদি আরবে অবস্থান করছিলেন এবং গতকাল সন্ধ্যার দিকে দেশে পৌঁছানোর পরপরই ইমিগ্রেশন চেকিংয়ের সময় তাকে চিহ্নিত করে আটক করা হয়। পরে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মোশাররফ হোসেন জানান, ইমন হত্যা মামলার মূল আসামি হিসেবে টগরের নাম চার্জশিটে রয়েছে। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছিল। অবশেষে দেশে ফেরার মুহূর্তে তাকে ধরা সম্ভব হয়েছে।
ইমন হত্যাকাণ্ডটি কয়েক মাস আগের ঘটনা, যা স্থানীয় রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। নিহত ইমন ছিলেন একজন যুবক, যাকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই হত্যার পেছনে ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং যুবলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, টগরকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আদালত কত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য রিমান্ড আবশ্যক।
এদিকে গোপালপুর শহরে এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। টগরের অনুসারীরা এখনও মুখে কুলুপ এঁটেছেন, তবে বিরোধী পক্ষ এই গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, টগর রিমান্ডে কী তথ্য দেন এবং মামলার তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়।