প্রকাশ: ১ মে ২০২৫, ১৬:২৪
টেকনাফে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান মে দিবস ও জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য এবং সেফটি দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শেখ এহসান উদ্দিন এবং পরিচালনায় ছিলেন উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. রবিউল হোসাইন। এতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, পরিবহন শ্রমিক সমিতি এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতকরণ এবং দৈনিক নির্ধারিত কাজের সময়সীমা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, শ্রমিকদের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের মজুরি প্রদান করা শ্রম আইনের অংশ হওয়া সত্ত্বেও অনেকক্ষেত্রে তা উপেক্ষিত হচ্ছে।
বক্তারা বিশেষভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দিয়ে সস্তা শ্রমে কাজ করানো নিয়ে। তারা বলেন, টেকনাফের বিভিন্ন দোকান, যানবাহন এমনকি স্থলবন্দরেও রোহিঙ্গারা কাজ করছে, যা স্থানীয় শ্রমজীবী মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে ফেলেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গারা ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম সনদ তৈরি করে বাংলাদেশি পরিচয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে, যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি জানান, এনআইডি বাতিল ও রোহিঙ্গা শ্রমিক চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন টেকনাফ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. ইসমাইল, বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. হাসান আহমদ, ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, যানজট ও পানির সমস্যাও সমাধানে প্রশাসন কাজ করছে এবং বিভিন্ন এনজিওর সহযোগিতায় এ সংকট উত্তরণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা মে দিবসের মূল চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে স্থানীয় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এবং রোহিঙ্গা শ্রমিক ইস্যুতে সর্বাত্মক প্রশাসনিক ও সামাজিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।