ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহত হন। ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সদর ইউনিয়নের চানমনি পাড়া ও মোগলটুলা গ্রামে এ সংঘর্ষ চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চানমনি পাড়া গ্রামের এলন মিয়ার ছেলে সাইফুল এবং মোগলটুলা গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে মুজাহিদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে কথাকাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়। এই ঘটনার জেরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল হাসান। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইটের আঘাতে ইউএনওর পায়ে এবং ওসির মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে।
আহত ইউএনও মোশারফ হোসাইন সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। আর গুরুতর আহত ওসি রফিকুল হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান বলেন, ইউএনওর আঘাত গুরুতর নয়, তবে ওসিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ওই দুই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) তপন সরকার বলেন, সংঘর্ষে ইউএনও ও ওসি আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকি দোষীদের ধরতে অভিযান চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নানা কারণে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতায় আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।