নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়ন জিয়া মঞ্চের সভাপতি জামসেদুল ইসলাম ওরফে টুটুলকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিয়ে মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেল ৪টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের শহীদ উদ্দিন এস্কান্দার মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামসেদুল ইসলাম।
বক্তব্যে তিনি জানান, ২০০৮ সাল থেকে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এবং ২০১২ সালে হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এই দায়িত্ব তিনি দুই মেয়াদে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পালন করেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দলীয় আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
জামসেদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়তা দেখে তৎকালীন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর সন্ত্রাসী বাহিনী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন এবং জোরপূর্বক তাকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়ানোর চেষ্টা করেন। তিনি দাবি করেন, তার অসম্মতিতে তাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়, যা তিনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি আরো জানান, কমিটি প্রত্যাখ্যানের পর তার ওপর নির্যাতন শুরু হয় এবং তাকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ঢাকায় প্রায় দুই বছর অবস্থান করার পর ২০২১ সালে ফিরে এলে তার ওপর ফের হামলা চালানো হয়, মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয় এবং অপমানজনকভাবে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন।
জামসেদুল ইসলাম বলেন, এত নির্যাতন সত্ত্বেও তিনি শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি এবং দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। এ কারণে ২০২৩ সালে তিনি হাতিয়া উপজেলা জিয়া মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান এবং পরে হরণী ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সর্বশেষ কমিটিতে তার কোনো নাম নেই, অথচ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার নাম জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামসেদুল ইসলাম মিথ্যা প্রচারণার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আহ্বান জানান, অভিযোগের সত্যতা না পেলে তাকে স্ব-পদে বহাল রাখা হোক। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হরণী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আবুল কাশেম, ওয়ার্ড জিয়া মঞ্চের সদস্য মো. আশরাফ আলী ও স্থানীয় যুবদল নেতারা।