প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৪৯
জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীদের হামলায় বিএনপি নেতা মো. সাইফুল ইসলাম ও সোহেল রানা আহত হন। ঘটনার পর বিএনপি নেতৃবৃন্দ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। এই হামলার পর আহত নেতারা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন, এবং অভিযুক্ত প্রধান আসামি আনোয়ার ইতোমধ্যে জেলহাজতে রয়েছেন। তবে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি নেতা এবং কর্মীরা আন্দোলন করছেন।
২৫ এপ্রিল রাতে হামলার শিকার হওয়া সাইফুল ইসলাম সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং রানাগাছা এলাকার মৃত কাশেম উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। হামলার ঘটনায় ৪ জন নামীয় ও ১০/১২ জন অজ্ঞাত আসামি হিসেবে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আনোয়ার ছাড়া বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে সাইফুল ইসলামের উপর হামলায় সহায়ক হিসেবে একাধিক ব্যক্তি জড়িত ছিল।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রানাগাছা রেলগেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহেষপুর কালিবাড়ী বাজারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা। বক্তারা হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করেন। এছাড়া বক্তারা আনোয়ার হোসেনকে আওয়ামী লীগের একজন স্থানীয় সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করেন, যার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও নারী ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
হামলার পরের দিন ২১ এপ্রিল সাইফুল ইসলাম মামলা দায়ের করার পর থেকে তার উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের আত্মীয়স্বজনরা বাদীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের প্রতি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান এবং অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন। জামালপুরের এই ঘটনা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার নতুন একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, যেখানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিএনপি।
এই হামলার বিষয়টি জনমনে বেশ উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয় এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে তারা আরো বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবেন।