হাকিমপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫ মেঃ টন চাল ও ১০৪টি বস্তা জব্দ

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫ হাজার কেজি চাল ও ১০৪টি খালি বস্তা জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার রাতে আলিহাট ইউনিয়নের মনশাপুর গ্রামে অবস্থিত একটি মিল ঘরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই চালগুলো জব্দ করা হয়। জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়, যেখানে প্রায় ১৮০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এই চালগুলো সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেয়া হয়েছিল।

আলিহাট ইউনিয়ন পরিষদের পাশে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়। অভিযানে অংশ নেয় উপজেলা খাদ্য বিভাগ, পুলিশ এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। উদ্ধার করা চালগুলোকে উপজেলা খাদ্যগুদামে জমা রাখা হয়েছে। তবে, অভিযানের সময় মিল মালিক বা সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন না। এ ঘটনায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অলিম্পিক ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. সবিরুল ইসলাম এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, সরকার যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে, তখন সরকারি চাল এইভাবে মজুদ রাখা খুবই হতাশাজনক। তিনি এর সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার আবুল কালাম আজাদ জানান, তার কাছে ১৩৪১ বস্তা চাল বরাদ্দ ছিল। তিনি বলেন, বিক্রির পর এতগুলো চাল কিভাবে মিল ঘরে চলে গেল, তা তিনি জানেন না। তার বক্তব্য, পরিষদে বিক্রির পর কিভাবে এতগুলো বস্তা এখানে আসল, এটা রহস্যজনক।

অলিম্পিক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আল ইমরান বলেছেন, তাদের পরিষদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, এই চালগুলো সরকারি সিলযুক্ত ছিল এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিল ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নিয়মিত মামলার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।