ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের মলমগঞ্জ মডেল কলেজ মিলনায়তনে শুক্রবার অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র পরিচালনার ৩১ দফা কর্মসূচি বিশদভাবে তুলে ধরা হয়। জামালপুর প্রতিনিধি শাওন মোল্লা জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় স্ক্রিনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এবং গ্রাফিক্সের মাধ্যমে কর্মসূচির মূল দিকনির্দেশনা ব্যাখ্যা করেন তরুণ সমাজকর্মী শরিফুল ইসলাম খান (ফরহাদ)।
কর্মশালায় উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ১২টি ইউনিয়ন থেকে অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ বুলবুল, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হকসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। তারা কর্মসূচির উপযোগিতা ও সম্ভাব্য গুরুত্ব নিয়ে সংলাপ চালান।
শরিফুল ইসলাম খান (ফরহাদ) বলেন, তারেক রহমানের প্রস্তাবিত ৩১ দফা কর্মসূচি দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডিজিটালের মাধ্যমে জনগণের কাছে কর্মসূচি পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কর্মশালার শুরুতেই পাথর্শী ইউনিয়ন থেকে এ অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেন তিনি।
প্রথম সেশন শেষে অংশগ্রহণকারীরা কর্মসূচির প্রতিটি দফা নিয়ে মতবিনিময় করেন। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার, বেকারত্ব দূরীকরণ ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের বিষয়গুলোতে খাব্যক্তি দেন। স্থানীয় এক শিক্ষক উল্লেখ করেন, এ কর্মশালা রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
দ্বিতীয় সেশনে অর্থনৈতিক মডেল, কৃষি উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণমুখী পদক্ষেপগুলো আলোচনা করা হয়। উপস্থিত ব্যবসায়ীরা বলেন, ৩১ দফার মধ্যেই প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক নীতিগুলো বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা সুবিধা পাবে। এ বিষয়ে শরিফুল বলেন, একত্রে কাজ করলে স্থানীয় অর্থনীতিতেও গতি আসবে।
রমনা ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, কর্মশালাটি দলীয় কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা জাগিয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরোদমে ৩১ দফা কর্মসূচি গ্রাস করবে প্রতিটি ইউনিয়ন। তারেক রহমানের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবাইকে প্রেরণা দেবে এ কর্মশালা।
শেষ সেশনে স্থানীয় পরিবেশ রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। উপস্থিতরা জানান, এসব দফা বাস্তবায়ন হলে জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। দলের কর্মীরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কর্মসূচি প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
কর্মশালা শেষে আয়োজকরা জানান, ইসলামপুরের প্রতিটি ইউনিয়নে এমন কর্মশালা দ্রুত আয়োজন করা হবে। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়িয়ে ৩১ দফার গুরুত্ব ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।