ঘোড়াঘাটে ছাত্র আন্দোলনে হামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারকৃতদের একজন হলেন মাহাবুর রহমান মাবু, যিনি সিংড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণ দেবীপুর এলাকার বাসিন্দা। অপরজন শরীয়ত জামান রাজু ওরফে খোকন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচিত এবং তিনি বুলাকীপুর ইউনিয়নের বলগাড়ি বাজার এলাকার বাসিন্দা।  

ঘটনার পেছনের ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, গত বছরের ২৪ আগস্ট ঘোড়াঘাট পৌর ছাত্রদলের সদস্য শহিদ শেখ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। একইসাথে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলর ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ মোট ৪০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।  

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। এতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পেট্রল বোমা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। এতে অনেক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং এলাকায় দীর্ঘদিন উত্তেজনা বিরাজ করে।  

ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, মামলার তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত দুই নেতার সংশ্লিষ্টতা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সোমবার সকালে দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

স্থানীয়ভাবে গ্রেপ্তার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একদিকে সাধারণ মানুষ প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।  

এই মামলায় আরও যেসব অভিযুক্ত রয়েছেন তাদেরও শনাক্ত করে পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রশাসন জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কেউ ছাড় পাবে না এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

ঘটনার পর ঘোড়াঘাট পৌর এলাকায় পরিস্থিতি আপাতত শান্ত থাকলেও ভবিষ্যতের জন্য বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।