সাতক্ষীরার আশাশুনি সদর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান ও একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার সদর বাজারের উপজেলা পরিষদ মোড়সংলগ্ন এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে হঠাৎ আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পায় বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আলমগীর হোসেন পিন্টুর "তারিক হার্ডওয়ার", প্রফেসর বজলুর রহমানের "লিজা ফার্নিচার", শিমুল হোসেনের "শিমুল ফার্নিচার", জননী টেইলার্স, মিরাজ টি স্টল ও একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলে।
বাজার সংলগ্ন একটি বাসার ভাড়াটিয়া আ. সামাদ আগুন ও ধোঁয়া দেখে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে ফোনে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডের একটি দল মাত্র ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এরপর ১৭ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও ততক্ষণে দোকানগুলোর অধিকাংশ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের ৫০ মিনিট সময় লেগেছে, তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন পিন্টু বলেন, “আমার হার্ডওয়ার দোকানে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল, সব পুড়ে গেছে।”
প্রফেসর বজলুর রহমান জানান, তার লিজা ফার্নিচার দোকানে প্রায় ১১ লক্ষ টাকার ফার্নিচার ও কাঠামো ছিল যা পুড়ে গেছে।
শিমুল ফার্নিচারের মালিক শিমুল হোসেন বলেন, তার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া জননী টেইলার্স ও মিরাজ টি স্টলেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় বাজারে কেউ ছিল না, তাই কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলটিতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা পুনর্গঠনের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
উপজেলার প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এবং ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন, যেন তারা পুনরায় ব্যবসা শুরু করতে পারেন।