নোয়াখালীতে কিশোর চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

নোয়াখালী সদর উপজেলায় কিশোর চালক বাবর হোসেনকে হত্যা করে তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ডাক্তার বাজার এলাকার স্লুইসগেট খাল সংলগ্ন কবরস্থানের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত বাবর হোসেন (১৮) নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে। বাবর স্থানীয়ভাবে সাব্বির নামে এক ব্যক্তির অটোরিকশা ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত বলে জানা গেছে।

বাবরের দূর সম্পর্কের খালাতো ভাই মো. রাজীব জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির সামনে এক বন্ধুর সাথে অটোরিকশার ওপর বসে বাবরকে শেষবারের মতো দেখা যায়। ওই সময় বাবর জানায়, রাতে তার একটি ভাড়া আছে। তবে কার ভাড়া বা কোথায় যাবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি।

এরপর রাত ১০টার পর থেকে বাবর নিখোঁজ ছিল। রাত ৩টার দিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে অপরিচিত এক ব্যক্তি রিসিভ করে জানায় ফোনটি সোনাপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় রাস্তার ওপর পড়ে ছিল। পরে সেই নম্বরে আবার ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এক নারী শাক তুলতে গিয়ে ডাক্তার বাজার স্লুইসগেট খাল সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে বাবরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাবরের পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে বাবরের বোনেরা নিখোঁজের বিষয়ে সুধারাম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে তারা ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধারের খবর পায়। খবর পেয়ে বাবরের অটোরিকশার মালিক সাব্বির ও রাজীব ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।

রাজীব জানান, বাবরের গলায় শক্ত কিছু পেঁচানোর আঘাতের চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। নিহতের শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, নিহত কিশোর বাবর অটোরিকশা চালাত কি না তা আমরা নিশ্চিত নই। তবে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।