নাটোরে থানা থেকে ছিনিয়ে নেয়া ছাত্রদল নেতা রুবেলসহ গ্রেফতার ৪

গ্রেফতার হওয়া অন্য তিনজন হলেন- রুবেল উদ্দিনের দুই বোন রুপা খাতুন (২৫), ফারজানা ইয়াসমিন বৃষ্টি (২০) এবং স্থানীয় যুবদল নেতা মাসুদ রানা। বুধবার দুপুরেই তাদের নাটোর আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

এর আগে লালপুর থানায় সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

এদিকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হকসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন এসআই ও দুইজন কনস্টেবল রয়েছেন।

নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিএনপি নেতা আব্দুর রশীদের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা রুবেল উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে লালপুর থানায় এসে ছাত্রদল ও যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী রুবেলকে ছেড়ে দিতে চাপ দেয়।

পুলিশের অসম্মতিতে এক পর্যায়ে থানা প্রাঙ্গণে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সংঘবদ্ধভাবে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে জোরপূর্বক রুবেলকে থানার হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় নেতাকর্মীরা। এই নাটকীয় ঘটনার পরই পুরো এলাকাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বেড়ে যায়।

ঘটনার পরদিনই রুবেল উদ্দিনসহ চারজনকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।