নওগাঁয় স্বামীর স্বীকৃতি আদায়ের দাবিতে মৌসুমী খাতুন নামের এক নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, স্বামী সোহেল রানা চয়ন সরকারি চাকরি পাওয়ার পর তাকে অস্বীকার করছেন।
মৌসুমী খাতুন শহরের কোমাইগাড়া (কাটিয়াপাড়া) মহল্লার মনছুর আলীর মেয়ে। তিনি জানান, ২০২২ সালে পারিবারিকভাবে সোহেল রানা চয়নের সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী জানান, স্বামীর চাকরির জন্য তার পরিবার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সোহেল রানা বর্তমানে হাঁপানিয়া-বক্তারপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই তিনি মৌসুমীকে তালাক দিয়েছেন বলে দাবি করেন।
মৌসুমী আরও অভিযোগ করেন, তিনি যখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তখন জোরপূর্বক তার গর্ভপাত করানো হয়। পরে তিনি জানতে পারেন, তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। স্বামীর বাড়িতে গেলে তাকে তালাক দেওয়ার কথা বলা হয়।
মৌসুমীর দাবি, বিয়ের সময় দেওয়া গহনা, আসবাবপত্র ও নগদ টাকাসহ মোট সাত লাখ টাকার মতো সম্পদ এখনও ফেরত পাননি। তিনি ইতিমধ্যে আদালতে দুটি মামলা করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে সোহেল রানা চয়ন বলেন, তিনি মৌসুমীকে তালাক দিয়েছেন এবং আদালতেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে। মৌসুমীর অভিযোগগুলো অসত্য বলে তিনি দাবি করেন।
মৌসুমী প্রশাসনের কাছে দ্রুত তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার প্রতি হওয়া অবিচারের জন্য দোষীদের শাস্তি হবে।