পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন ও আলোচনার ঝড়।
মঙ্গলবার বিকালে তাকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে র্যাব সদস্যরা আটক করেন। পরে আটককৃত আবুল কালাম আজাদকে দুমকি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ উপজেলা বিএনপি অফিস ভাংচুর মামলার ১ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। এই মামলায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন বলে জানা গেছে।
দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাকির হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আবুল কালাম মৃর্ধা নামে পরিচিত আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি দুমকি উপজেলা বিএনপি অফিস ভাংচুর মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।
ওসি আরও জানান, তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতির গ্রেফতারের খবরে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, আইনের বাইরে কেউ নয়, অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে। আবার আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী এই গ্রেফতারকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ বলেও দাবি করছেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা এই গ্রেফতারকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, অনেক আগেই এই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। অবশেষে আইনের আওতায় আনা হয়েছে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে দুমকি উপজেলা বিএনপি অফিসে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুমকি থানায় মামলা হলে আবুল কালাম আজাদকে প্রধান আসামি করা হয়। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
এ ঘটনার পর থেকে দুমকি এলাকায় পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গেছে।