শহীদ গণির পরিবারের পাশে এ্যাড. আসলাম, ঈদে উপহার ও সহায়তা

ঢাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবদুল গণি শেখের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই। রাজবাড়ীর খানখানাপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা গণি শেখ রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে কাজ করতেন। গত বছরের ১৯ জুলাই কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন তার স্ত্রী লাকি আক্তার, উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া ছেলে আলামিন শেখ ও ছয় বছরের মেয়ে জান্নাত।

গণির স্ত্রী লাকি আক্তার বলেন, তার স্বামী প্রতি বছর দুই ঈদের একটিতে বাড়ি আসতেন। গত কোরবানির ঈদে আসতে না পারলেও পরিবারের জন্য উপহার পাঠিয়েছিলেন। এবারের ঈদুল ফিতরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই আশার সমাপ্তি ঘটেছে তার হত্যার মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, তার স্বামীকে হারানোর পর পরিবারে ঈদের আনন্দ চিরতরে নিভে গেছে। সন্তানদের জন্য এবার শুধুমাত্র সেমাই রান্না করতে পেরেছেন।

রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসভাপতি এ্যাড. মো. আসলাম মিয়া ঈদের আগের দিন গণির পরিবারের পাশে দাঁড়ান। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে রাজবাড়ী শহরের একটি মার্কেটে নিয়ে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করান এবং নগদ ২০ হাজার টাকা উপহার দেন। এছাড়া তিনি সবসময় তাদের খোঁজ রাখেন এবং বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন।

গণি শেখের ছেলে আলামিন বলেন, এই ঈদ তারা বাবার সঙ্গে কাটানোর কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বাবাকে হারিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা তার বাবাকে হত্যা করেছে, তাদের দ্রুত বিচার চান।

এ্যাড. আসলাম মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিস্ট পুলিশ বাহিনীর গুলিতে গণি শেখের নির্মম মৃত্যু হয়েছে। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তার বাড়িতে বড় পরিসরে কুলখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া তিনি গণির পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং সন্তানদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

তিনি বলেন, শহীদ গণির ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়, তবে তার পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। তিনি দাবি করেন, গণি শেখ হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।