প্রকাশ: ২ মার্চ ২০২৫, ২১:৪৬
দিনাজপুরের হাকিমপুরে ৭ম জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন করা হয়েছে। "তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দিব মিলে মিশে" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক চর্চার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. শাহাজাহান আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়। এছাড়া বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মেজবাহুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ফেরদৌস রহমান, উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. আমিনুল ইসলাম, হিলি প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. গোলাম রব্বানী, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, অতীতে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, দিনের ভোট রাতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন বক্তারা।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. শাহাজাহান আলী চৌধুরী বলেন, ভোটারদের সঠিক তথ্য দিয়ে নিবন্ধিত হওয়া জরুরি। সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে একজন নাগরিক তার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারেন। এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে ভোটার হতে উৎসাহিত করা এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে। তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস রয়েছে, ভবিষ্যতেও জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার থাকবে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকলে দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে। গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, ভোটারদের সচেতন করতে এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন কমিশন চাইছে, যাতে কোনো অনিয়ম ছাড়াই সকল ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। তারা আরও বলেন, গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে আগামী দিনগুলোতেও এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়। বক্তারা বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত হয়, যা দেশের সার্বিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।