কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামী একটি কর্মী সম্মেলন আয়োজন করেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ৮ টায় চরএলাহী বাজারে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আইয়ুব আলী সভাপতিত্ব করেন।  

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির মাওলানা সাইয়েদ আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন মানিক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, সেক্রেটারি মাওলানা মিজানুর রহমান এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মহিন উদ্দিন প্রমূখ।  

কর্মী সম্মেলনে বক্তারা বর্তমান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করেন। তারা দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৬ বছর ধরে বিরোধী দল ও মতের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য সর্বোচ্চ পৈশাচিকতা দেখিয়েছে। তাদের মতে, এমন জুলুমের পরও জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেনি।  

বক্তারা আরও বলেন, জামায়াতের আন্দোলন সব সময় শান্তিপূর্ণ ছিল এবং সরকারের অপশাসন তুলে ধরার জন্য তারা সঠিক পথে কাজ করেছে। তারা জামায়াতের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে অংশ নিতে আহ্বান জানান।  

সম্মেলনে নেতারা জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক দেশব্যাপী পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের মতে, জামায়াতের কার্যক্রম সমাজের উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সর্বদা কাজ করবে।  

এছাড়া, বক্তারা জামায়াতে ইসলামীকে একটি ইসলামী আদর্শের সংগঠন হিসেবে তুলে ধরেন এবং দলটির কর্মীদের সর্বোচ্চ নৈতিক ও রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন।  

সম্মেলনে উপস্থিত সদস্যরা বলেন, দেশের শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার জন্য জামায়াত তাদের রাজনৈতিক সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে। তারা সরকারের নিপীড়ন ও নিষেধাজ্ঞার মুখেও তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবেন না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  

এছাড়া, কর্মী সম্মেলনে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং নেতারা জামায়াতের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে উপস্থিত সদস্যদের অবহিত করেন। নেতারা আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী সব সময় জনগণের কল্যাণে কাজ করবে এবং ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাদের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাবে।  

সম্মেলনের শেষে নেতারা একতাবদ্ধভাবে দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।