প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০:৩৭
বহু বিতর্ক এবং অভিযোগের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সিলেট সার্কেলের বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক রিয়াজুল ইসলামকে বদলী করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ, যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
১৪ অক্টোবর, তাকে সিলেট থেকে বদলী করে বিআরটিএ’র কুড়িগ্রাম সার্কেলে যোগদানের নির্দেশনা জারি করা হয়। রিয়াজুল ইসলাম সিলেট সার্কেলে তার দায়িত্ব পালনকালে সরকারি অর্থ আত্মসাত, ঘুষ বাণিজ্য এবং অন্যান্য অনিয়মের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি এবং দালালদের সাথে মিলে বিশাল অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম ২০১১ সালে মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে বিআরটিএ’র সঙ্গে যুক্ত হন এবং ২০১৩ সালে অভিযোগের ভিত্তিতে বদলী হন। কিন্তু তিনি ২০১৯ সালে পুনরায় সিলেট সার্কেলে ফিরে আসেন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন দালালের সহায়তায় ঘুষের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিলেন।
সিলেটের যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সদস্যরা তাঁর দুর্নীতি কার্যক্রমে সহযোগিতা করে আসছিলেন। তথ্য অনুযায়ী, রিয়াজুলের দৌরাত্ম্যের কারণে অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। বিশেষ করে, ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা নিতে আসা গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল—টাকা ছাড়া কোন ফাইলই নড়ছিল না।
বিআরটিএ’র সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর তাঁকে বদলী করা হয়। তাঁর অপকর্মের কারণে সিলেটের জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিষয়টি স্থানীয় সংবাদপত্র ও অনলাইন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।
এখন দেখার বিষয়, নতুন দায়িত্বে তিনি কেমন কাজ করবেন এবং বিআরটিএ’র চলমান দুর্নীতি রোধে সরকারের পক্ষ থেকে কিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়। রিয়াজুল ইসলামের বদলীর ফলে সিলেটের বিআরটিএ অফিসে নতুন করে আশা জেগেছে।