প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১:১৮
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের প্রথম হানাদার মুক্ত উপজেলা ভূরুঙ্গামারী মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও প্রেসক্লাব যৌথভাবে র্যালি, আলোচনা সভা ও সম্মাননা স্মারক প্রদানের আয়োজন করে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও বাসস্ট্যান্ড স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৭ ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস এতে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার রায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমীন (এসপি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুন্নবী চৌধুরী, ওসি রুহুল আমিন বিশেষ অতিথি ছিলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আকতারুজ্জামান মন্ডল, মহিউদ্দিন আহমেদ, শামসুল আলম মতি, আব্দুল মজিদ সরকার, ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল হক ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মন্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভূরুঙ্গামারী আক্রমনের পরিকল্পনা করে ভারতীয় ষষ্ঠ মাউন্টেন ডিভিশনের একটি ব্রিগেড ও বিএসএফের কয়েকটি কোম্পানী ভূরুঙ্গামারীর দক্ষিণ দিক উন্মুক্ত রেখে বাকি তিন দিক থেকে একযোগে আক্রমনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
মুক্তি বাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী যৌথভাবে ১৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে পাক বাহিনীর ওপর প্রবল আক্রমণ চালায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুয়ায়ী মিত্র বাহিনী ভূরুঙ্গামারীতে অবস্থান নেয়া হানাদার বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে একদিন আগে থেকে কামান ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করে এবং বিমান হামলা চালায়।
ভোর হওয়ার আগেই হানাদার বাহিনী গুলি বর্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। তারা পিছু হটে নাগেশ্বরী উপজেলার দিকে চলে যায়। মুক্তিবাহিনী ভোরে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে তৎকালীন সিও অফিসের (বর্তমান উপজেলা পরিষদ) সামনে চলে আসে এবং সেখানে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন।