প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ১:৩৯
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত দিনাজপুরের হিলি রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ, ভারত থেকে আমদানি হওয়া বিভিন্ন পণ্য মালবাহী ট্রেনের ওয়াগেন খালাসের ব্যবস্হা, হিলি স্টেশনে আধুনিক যাত্রী ছাউনী ও স্টেশন মাস্টার সহ সকল কার্যক্রমের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা, হিলি নাগরিক উন্নয়ন কমিটি ও ছাত্র সমাজ।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে দশটায় হিলি স্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করে এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রায় পোনে দুই ঘন্টা পরে রেলওয়ের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন তারা।
এসময় হিলি রেলওয়ে স্টেশনে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রকেট ট্রেন দাঁড় করিয়ে আন্দোলন করেন তারা। ফলে সকাল ১০ টা ৪৪ মিনিট থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গের সাথে সারা দেশের সাথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। প্রায় দুই ঘন্টা পর রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে সারা দেশের সাথে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানা যায়, গত মাসের ১০ তারিখে রেলপথ অবরোধ করে মানববন্ধন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নাগরিক উন্নয়ন কমিটি ও ছাত্র সমাজ। সেসময় স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলেও দাবি না মানায় আজ বুধবার আবারো আন্দোলনে নামেন তারা। প্রায় পোনে দুই ঘন্টা অবরোধের পর হিলি রেলস্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্টেশনের আশ্বাসে আন্দোলন তুলে নেওয়া হয়। রেলপথ অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সাবেক কমান্ডার লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুল আলম, তোফাজ্জল হোসেন, নাগরিক উন্নয়ন কমিটির নেতা মিশর উদ্দিন সুজন, এনামুল হক, ছাত্র নেতা সোহাগ, মোস্তাকিম, মুহিত আহমেদ, মহিউদ্দিন মারুফ, রিয়াদ, মোশাররফসহ স্থানীয়রা।
হাকিমপুর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী জানান, গত মাসের ১০ তারিখে হিলি স্টেশনে সকল ট্রেনের স্টপেজ, স্টেশনের আধুনিকায়ন দাবিতে আমরা রেললাইন অবরোধ করে রেখেছিলাম। আজও রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলাম। কিন্তু আমাদের দাবি না পুরন করলে আগামী ১৪ নভেম্বর আবারও রেলপথ অবরোধ করে আমাদের দাবি আদায় করে ঘরে ফিরে যাবো ইনশাআল্লাহ!
হিলি রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন এর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্হলে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়। তিনি রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হিলিবাসীর প্রাণের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু ছায়েম মিয়া।
এদিকে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল পাকশী জোন এর রেলওয়ের বাণিজ্য কর্মকর্তা একে এম নুরুল আলম হিলি রেলস্টেশনে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের বলেন, ইতিমধ্যে রেলওয়ের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ আপনাদের দাবির বিষয়ে অবগত হয়েছেন। আগামী ১৪ ই নভেম্বর মধ্যে হিলি রেলওয়ে স্টেশন একটি পুর্ণাঙ্গ স্টেশনসহ সকল কার্যক্রম চালু করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে এখানে আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।