প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২:১৮
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি’র পদযাত্রা পন্ড হয়ে গেছে পুলিশের বাঁধায়। এতে পুলিশের টিয়ারসেল, ফাঁকাগুলি ও লাঠিচার্জে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অন্তত ১৪/১৫ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দেবীদ্বার উপজেলার খাদঘর ও চান্দিনা উপজেলার কেরনখালে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির দলীয় কর্মসূচি পদযাত্রা সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লা উত্তর জেলা কমিটির উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুরাদনগর উপজেলার গোমতা নামক স্থানে আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুল নবী সোহেল। কিন্তু ওই স্থানে পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় তারা চলে আসেন ঢাকা- চট্রগ্রাম মহা সড়কের দেবীদ্বার উপজেলা খাদঘর নামক স্থানে। সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ আবারো বাঁধা প্রদান করে। এতে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ১৮/২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা (উঃ) জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ শাহজাহান মোল্লা বলেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মুরাদনগর উপজেলার গোমতা এলাকায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয় এবং আওয়ামীলীগ ওই স্থানে শান্তি সমাবেশের পূর্বানুমতি নিয়েছে বলে জানান। আমরা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দেবীদ্বার উপজেলার খাদঘর এলাকায় পদযাত্রা করতে চাইলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল নিক্ষেপ এবং গুলিবর্ষণ করে। এতে দাউদকান্দি উপজেলার ২ নেতা গুলিবিদ্ধসহ ১৪/১৫জন আহত হওয়ার সংবাদ পেয়েছি।
আহতদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন, কুমিল্লা (উঃ) জেলা বিএনপি’র অর্থ সম্পাদক আজহার মেম্বার, কুমিল্লা (উঃ) জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুফিয়া বেগম, কুমিল্লা (উঃ) জেলা যুবদল নেতা ভিপি শাহীন। কুমিল্লা (উঃ) জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক তৌহিদ বাবু, দেবীদ্বার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. রবিউল আউয়াল সাইফুল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক অব্দুর রহমান, বিএনপি নেতা তাছলিমা বেগ, আলেয়া বেগম, রমজান হোসেন সহ ১৪/১৫ জন। আহতদের চান্দিনা, দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা কুমিল্লা (উঃ) জেলা মহিলা দলের সভাপতি ও দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া বেগম, মহিলা দল নেত্রী তাছলিমা বেগম, আলেয়া বেগম এর মধ্যে তাছলিমা বেগমের মাথা এবং হাতে বন্দুকের বাটের আঘাতে মারাত্মক জখম হয়েছে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ও মাথার আঘাতে বমি করায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার উপজেলার ভাণী অস্থায়ী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে ব্যস্ত আছেন, পরে বিস্তারিত জানাবেন বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।