প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২২, ২৩:৩৩
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল চোর চক্র। এই চক্রটি একমাসের ব্যবধানে ভূরুঙ্গামারী থেকে ৬টি মোটরসাইকেল চুরি করেছে। মোটরসাইকেল চুরির শিকার হওয়া ব্যক্তিরা থানায় মৌখিক অভিযোগ করলেও একজন মামলা করেছেন।
জানাগেছে, চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হকের ১৫০ সিসি পালসার, ভূরুঙ্গামারী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মোকলেছুর রহমানের ১৫০ সিসি পালসার, বাবলু হোসেনের ১৫০ সিসি পালসার, বাবর আলীর ১২৫ সিসি ডিসকভার, ছাত্রলীগ নেতা নাজিউর রহমানের ১৫০ সিসি পালসার এবং সর্বশেষ আব্দুর রউফ মোল্লার ১৫০ সিসি পালসার মোটরসাইকেল চুরি হয়ে গেছে।
একাধিক সুত্রে জানাগেছে, প্রত্যেক ঈদের সময় প্রভাবশালী একব্যক্তির নেতৃত্বে মোটরসাইকেল চোর চক্রটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রভাবশালী ওই ব্যক্তির নির্দেশে চক্রের কিছু সদস্য মোটরসাইকেল চুরি করে নাগেশ^রীর অপর একটি চক্রের কাছে পৌছে দেয়। চোর চক্রের সদস্যরা এজন্য ওই ব্যক্তির নিকট থেকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা পেয়ে থাকেন। নাগেশ^রীর চক্রটির হাতে মোটরসাইকেল পৌছার পর সেখান থেকে বাটোয়ারা পান প্রভাবশালী ওই ব্যক্তি। এরপর মোটরসাইকেল চলে যায় রংপুর আন্তঃবিভাগ মোটরসাইকেল চোর চক্রের কাছে। সেখানে মোটরসাইকেলের রং ও কিছু যন্ত্রাংশ পরিবর্তন এবং ঘষামাজা করে চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে বিআরটিএর এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারীর যোগসাজসে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লাগিয়ে চুরি করা মোটরসাইকেলগুলো বিক্রি করা হয়।
মোটরসাইকেল চুরির শিকার সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বলেন, কয়েকদিন আগে আমার ছেলে সন্ধ্যা বেলা রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল রেখে এক বাড়িতে যায়। সে কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে দেখে মোটরসাইকেলটি নেই। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু এখনো মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়নি।
মোটরসাইকেল চুরির শিকার হওয়া ব্যক্তিরা ভূরুঙ্গামারী থানায় মৌখিক অভিযোগ করলেও নাজিউর রহমান নামের একজন মামলা করেছেন।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাগুলো শুনেছি। একটি মামলা হয়েছে। চুরির ঘটনাগুলোর তদন্ত চলছে। একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা সম্ভব হলে অন্যগুলো উদ্ধার করা যাবে।