হিলিতে চাল আমদানির খবরে কমতে শুরু করেছে দাম

দেশের বাজারে গত এক মাস ধরে হঠাৎ করে চালের বাজারে দামের অস্থিরতা দেখা দেয়। এরপর সরকারি ভাবে বাজার মনিটরিং এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দুই দিন আগে ভারত থেকে শুল্ক মুক্ত চাল আমদানি ও প্রয়োজনে বে-সরকারি ভাবে চাল আমদানি করার খবরে স্বস্তি মিলেছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর চালের বাজারে। ফলে সব ধরনের চালের দাম কমতে শুরু করেছে। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে অন্তত ৪-৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারত থেকে চাল আমদানি করার প্রস্তুতি শুরু করেছেন হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (৮জুন) দুপুরে হিলি স্থলবন্দর এলাকার চাল বাজারে সরেজমিনে গিয়ে এমনটা দেখা যায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হলে চালের দামের স্বাভাবিকতা ফিরবে চালের বাজারে। কম দামে কিনতে পারবেন ভোক্তারা।

বন্দরের চাল ব্যাবসায়ী বাবুল হোসেন বলেন, এখন বোরো ধানের ভরা মৌসুম। অণুকুল আবহাওয়া থাকায় আমাদের এলাকায় এবার ফলনও হয়েছে বাম্পার। এই অবস্থায় ভোক্তাদের চালের দামে স্বস্তির মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু চালের বাজারে চিত্র তার উল্টো। মিলাররা কারসাজি করে ধান কিনে মজুত করে চালের। এর ফলে তারা উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে যায়। আর এ কারণে প্রতিদিনই বাড়তে থাকে চালের দাম। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না দামের ঊর্ধ্বগতি। গত ১ মাসে অন্তত কেজিতে ১০-১২ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় সব ধরনের চাল। ফলে অস্থিরতা দেখা দেই চালের বাজারে। অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে ক্রেতারা।

তিনি আরও বলেন, এই অবস্থায় সরকার দুই দিন আগে ভোক্তাদের সুখবর দিতে এবং চালের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানি প্রয়োজনে বে-সরকারি ভাবে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই খবরে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের চালের দাম।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারত থেকে শুল্ক-মুক্তভাবে চাল আমদানি করা হলে এর সুফল ভোক্তারা পাবে। কারণ, তখন বাজারে চালের সরবরাহ বাড়বে এবং চালের দাম অনেক কমে আসবে। কিছু অসৎ মিল মালিকরা ধানের মজুত করে চাল উৎপাদন কমিয়ে দেয়। এ কারণে বাজারে চালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে যায়। ফলে গত এক মাস ধরে কেজিতে সব ধরনের চালের দাম ১০-১২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছিল।