প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:৫২
দিনাজপুর জেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ছোট্ট একটি হাকিমপুর পৌরসভা। মাত্র ২৮ হাজার ৪শ ১১ জন জনসংখ্যার পৌরসভা এটি। তবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি হওয়ায় পৌরসভাটি গুরুত্ব অনেক। পৌরসভা ও স্থলবন্দর এলাকার মানুষের শব্দ দূষণ ও ভোগান্তির কথা চিন্তা করে গেলো বছর মাইকিং প্রচার সেবা চালু করছেন কতৃপক্ষ।
মাইকিং প্রচার সেবার আওতায় আনা হয়েছে পুরো পৌরসভাকে,প্রতিটি মোড়ে মোড়ে টাঙ্গানো রয়েছে মোট ৭২টি মাইক,প্রচার কেন্দ্র স্থল করা হয়েছে পৌরসভা। আর এই প্রচার মাইকিং সেবা চালুর পর থেকে অনেকে পেয়েছেন তাদের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান কাগজ-পত্র,গরু,ছাগল,টাকা এমনকি হারিয়ে যাওয়া গাড়ির চাবি। শুধু হারিয়ে যাওয়া জিনিস পাওয়ায় না বরং নিদিষ্ট স্থান থেকে প্রচারের ফলে পৌর এলাকায় কমেছে শব্দ দূষণ।
কথা হয় পৌরসভার মহিলা কলেজ এলাকার জেসমিন আক্তার বলেন,আমার স্বামী বিদেশে থাকেন সেখান থেকে পাঠানো টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে বাসায় যাবার পথে আমার টাকা হারিয়ে যায়,পরে হাকিমপুর পৌরসভার মাইকিং প্রচারের মাধ্যমে প্রচারের পর হারানো টাকা ফেরত পায়। পৌরসভার কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায়।
দক্ষিণ বাসুদেব চুড়িপট্টি এলাকার মাবুদ মন্ডল বলেন,বাসা থেকে আমার ছাগল হারিয়ে ছিলো।পরে পৌরসভার মাধ্যমে মাইকিং করে হারানো ছাগল ফেরত পেয়েছি।এই সিস্টেম চালুর ফলে আমাদের অনেক ভালো হয়েছে। এতে খরচ কম লাগছে এবং সময় ব্যয় কম হচ্ছে।
স্থানীয় নাগরিক সোহাগ হোসেন বলেন,আগে পৌরসভার মধ্যে এলোমেলো ভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার চালাতো এতে করে শব্দ দূষণ হতো।বর্তমানে পৌরসভা থেকে প্রচার মাইকিং মাধ্যম চালুর ফলে নিদিষ্ট জায়গা থেকে নিদিষ্ট সময়ে প্রচার করার জন্য শব্দ দূষণ কিছুটা হলেও কমেছে।
হিলি হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন,পৌরবাসীর সেবার কথা চিন্তা করে গেলো বছর পৌরসভা প্রচার মাইকিং সেবা চালু করা হয়।এর ফলে মানুষ কম সময়ে ও কম খরচে তাদের প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন বিজ্ঞাপ্তি প্রচার করতে পারছে। নিদিষ্ট একটা স্থান থেকে প্রচারের ফলে শব্দ দূষণ কিছুটা কমে আসছে।এছাড়াও মানুষ এ সেবার মাধ্যমে অনেক হারানো জিনিস ফিরিয়ে পাচ্ছে।