প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ৩:৪৩
দৈনিক কিংবা মাসিক, বাজারটা যখনই হোক, ক্রেতার মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোজ্যতেলের আকাশছোঁয়া দাম। বেশ কয়েক দফায় দাম বেড়ে এখন এক লিটার সয়াবিন তেল কিনতে হয় ১৬৮ টাকায়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামানের দাবি, রোজার মাসে ভোজ্যতেলের সরবরাহ ঠিক রাখতেই দাম বাড়ানো হয়েছে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সভাকক্ষে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, দেশের বাজার ও পণ্যের মান ঠিক রাখতে দেশব্যাপী অধিদফতরের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
সবশেষ সপ্তাহ খানেক আগে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে প্রতি লিটারে ৮ টাকা করে। একদিকে তেলের দাম নিয়ে গলদঘর্ম ক্রেতা। অন্যদিকে খোদ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরই দিচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির দোহাই।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, এই তেলের দাম গত নভেম্বর থেকে বাড়ানোর কথা বলে আসছে। আমরা যদি ৬ তারিখে দাম না বাড়াতাম তাহলে রোজার মধ্যে সঙ্কট তৈরি হতো।
সভায় কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন থেকে বলা হয়, খুচরা ও পাইকারি বাজারে দামের পার্থক্য থাকে বিস্তর। সব ক্ষেত্রেই বাজারে নজরদারি আরও বাড়ানোর জন্য দাবি জানায় ক্যাব।
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশনের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধি, সেবার মূল্য বৃদ্ধি, যখন তখন বৃদ্ধি এটার কারণ হলো আমরা খুচরা বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারছি না।
এদিকে, রমজানসহ সারাবছর সব ধরনের চাপ মোকাবিলা করে হলেও, ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য প্রতি উপজেলায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।