সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) পরাজয় মেনে নিয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। রোববার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে পরাজয় মেনে নেওয়ার কথা জানান তিনি।
এর আগে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯২টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। দুজনের ভোটের পার্থক্য ৬৯ হাজার ১০২টি। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র হতে চলেছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
রোববার রাতে ভোট গণনা শেষে ১৯২ কেন্দ্র থেকে আসা প্রাথমিক তথ্যে মেয়র পদের এ ফল নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বেসরকারিভাবে যে ফল ঘোষণা করছেন সেখান থেকে এখনো পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আইভী ও তৈমূর আলম ছাড়াও মেয়র পদে লড়েন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নয়টি কাউন্সিলর পদে লড়েন ৩৪ জন প্রার্থী।