প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০:২
শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আহমেদ কতৃক সদ্য বিদ্যালয় ছেড়ে কলেজ পড়ুয়া এক হিন্দু কন্যা সমতুল্য ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিবাহ করায় প্রধান শিক্ষকের স্থায়ী বহিস্কারের দাবীতে অবিভাবক মহল ও এলাকাবাসি মানববন্ধন করেছে।
গতকাল ২৫শে সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে হাজারও মানুষের উপস্থিতিতে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নূরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোহেল রানা বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অরুন মূখার্জী, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের, সমাজ সেবক হাবিবুল আলম, সমাজ সেবক ডি এম মঈনুদ্দিন লাভলু, নবীন সংঘের সভাপতি এস এম সাইফুল্যাহ আল মামুন, যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য লিয়াকত হোসেন, ভুক্তোভোগী কন্যার পিতা সন্যাসী অধিকারী সহ শত শত অবিভাবকদৃন্দ।
অন্যদিকে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবিভাবকবৃন্দের পক্ষ থেকে যশোর শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগের ভিত্তিতে একই দিনে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ তদন্ত টিম ১১টায় বিদ্যালয়ে তদন্তকার্য পরিচালনা করছিলেন।
প্রসঙ্গত , অত্র উপজেলার দক্ষিন হাজীপুর গ্রামের মৃত মোঃ আলী হাসানের ছোট ছেলে শামীম আহমেদ(৪৫) কয়েক মাস আগে নিজ বিদ্যালয় থেকে সবেমাত্র কলেজে উঠা নুরনগর গ্রামের সন্যাসী অধিকারীর মেয়ে তনুশ্রী অধিকারী (১৬)কে সবার অলক্ষে নিয়ে ধর্মান্তরিতকরে এ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে নাবালিকা ছাত্রীকে বিবাহ করেন।
সূত্রে জানা যায়, নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একাধীক ছাত্রী বিবাহের জনক শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকজন ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার পরে, একটি বিশেষ মহলের হস্তক্ষেপে বিয়ের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকায় রফাদফা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় কন্যার পিতার করা মামলায় শামীম পুলিশের হাতে আটক হয়ে কয়েক মাস জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে আসে।
উক্ত মানববন্ধনে অভিভাবক সহ সকল ছাত্র ছাত্রীরা নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চরিত্রহীন শিক্ষক শামিম আহমেদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন। এমন নারীলোভী শিক্ষক সমাজের উচ্ছিষ্ট দাবী করার সাথে সাথে অভিভাবকবৃন্দ বলেন আমার আপনার ছোট বোন, কন্যা সন্তান ও শিকার হতে পারে এই নারীলোভী শিক্ষক শামীমের ভয়াল থাবায়, আসুন সবাই এক হই বিদ্যালয় কে রক্ষা করি।
সর্বশেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ উক্ত অভিযোগের তদন্ত কার্য সম্পর্ন করে উর্দ্ধতণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করবেন বলে জানিয়েছেন অত্র বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তি যোদ্ধা এম এ মজিদ।
