প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৪:২০
লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে রবিবার থেকে সমুদ্র রূদ্র মুর্তি ধারণ করেছে। প্রচন্ড ঘেউ এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে আলিপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরসহ উপকৃলীয় এলাকার বিভিন্ন নদী নদীতে। তবে কোনো মাছধরা ট্রলার দুর্ঘটনার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ছেলেদের জালে সবেমাত্র রুপালী ইলিশ ধরা পড়া শুরু করেছে। ঠিক সেই মুহুর্তেই বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃস্টি হয়েছে। এর প্রভাবে সাগর প্রচন্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে। ঢেউয়ের তান্ডব সইতে না পেরে জেলেরা গভীর সমুদ্রে থেকে জাল তুলে ট্রলার নিয়ে মৎস্য বন্দরগুলোতে ফিরে আসে। এসময় প্রচুর পরিমাণে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে আসে জেলেরা। সোমবার সকাল থেকে আলীপুর ও মহিপুরে খাপড়াভাঙা নদীর দুই তীরে হাজারো ট্রলার নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ আগে ধার দেনা করে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যায় জেলেরা। এর পর গভীর সাগর জাল ফেলে জেলেরা।দেখা মেলে কাঙ্খিত সেই রুপালি ইংলিশের। কিন্তু লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে সাগর উত্তাল হওয়ায় তারা তীরে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। মরার উপড় খারার ঘাঁ হয়ে দাড়িয়েছে। জেলেরা আরও জানান, বৈরী আবহাওয়ায় হাজারো ট্রলার আন্ধারমানিক, রাবনাবাদ, সোনাতলা নদীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার আবহাওয়া একটু অনুকূলে আসলে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জেলেরা। সমুদ্র শান্ত থাকলে বুধবার সকালে গভীর সাগরে ইলিশ শিকারে মাত্রা করবে।
এদিকে পায়রা সমুদ্র বন্দর সমুহকে ৩ নম্বার স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার সমুহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া আফিস। সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারের মো.আসাদ মাঝি বলেন, মাত্র কয়েকদিন ধরে জালে ইলিশের দেখা মিলেছে। হঠাৎ করে সাগর রুদ্রমুর্তি ধারন করেছে। অস্বাভাবিক ঢেউয়ের তান্ডব টিকতে না পারায় মাছ শিকার বন্ধ করে ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে তারা। আলীপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, বর্তমানে সাগর চরম উত্তাল থাকায় হাজার হাজার মাছধরা ট্রলার মহিপুর ও আলীপুর আড়ৎ ঘাটে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে।