প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২১, ২৩:৫১
সারাদেশের মতো বরিশালেও ১৪ জুলাই বুধবার মধ্যরাত থেকে চলাচল শুরু করেছে গণপরিবহন। করোনা সংক্রমণের বিস্তারের কারণে ১৭ দিন বন্ধ থাকার পর অর্ধেক যাত্রী আর বর্ধিত ভাড়া নিয়ে বুধবার (১৪ জুলাই) মধ্যরাত থেকে চলতে শুরু করে গণপরিবহন।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার পরিবহণ এবং অভ্যন্তরীন সহ ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। এছাড়া বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল ও দোকান-পাট খুলেছে।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শিথিল করায় মানুষের চলাচলও বেড়েছে পূর্বের ন্যায়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি অনেককে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রমের পাশাপাশি পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
বরিশালের দুটি বড় বাস টার্মিনাল ও নদী বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, খুব সকাল থেকেই বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতের জন্য ভিড় করছেন যাত্রীরা। এ সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়নি। যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক সঠিকভাবে না পরলেও বাস ও লঞ্চে ওঠার সময় মাস্ক পরেছেন। এছাড়া কাঁচাবাজার, মাছ বাজার ও চায়ের দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
সরেজমিনে বরিশাল নৌবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, অভ্যন্তরীণ সবগুলো রুটে যাত্রী পরিবহন করছে ছোট লঞ্চ। এসব লঞ্চে যাত্রীদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করে মালিক-শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। তবে অনেক যাত্রীকে মাস্কবিহীন চলাচল করতে দেখা গেছে।
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ জানিয়েছেন লকডাউন শিথিল হলেও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার জানিয়েছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে পুলিশের ভুমিকা অব্যাহত রয়েছে। এসময় তিনি করোনা থেকে রক্ষায় জনগণকে আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানান।