প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২১, ২৩:৫২
বরিশাল বিআইডব্লিউটিসি আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-অভিযোগের অন্ত নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের সঠিক তদারকি না থাকায় এখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আঞ্চলিক কার্যালয়কে অনিয়ম- দুর্নীতির আখরায় পরিনত করেছেন।
এদিকে বছরের পর বছর অনিয়ম চললেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় টিকিট বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ, অফিস চলাকালীন বাসায় অবস্থান করা ও কোন প্রকার ছুটি না নিয়েই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা এখন এখানকার নিত্যদিনের ঘটনা।
সরেজমিনে বরিশাল বিআইডব্লিউটিসি রকেট ঘাটে গিয়ে টিকিট বিক্রির টাকা আত্মসাতের চিত্র দেখা গেছে। গত ২ জুন ২০২১ ইং তারিখে বরিশাল বিআইডব্লিউটিসির আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রান্তিক সহকারী মুমিদুল ইসলাম সজল যাত্রীদের কাছ থেকে ১২০ টাকা করে নিয়ে ৬০ টাকা মূল্যের টিকিট হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন। আর যাত্রী সাধারণ সেই টিকিট নিয়েই তাদের গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন। ফলে সরকার হারাচ্ছে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব।
সূত্রে জানাগেছে, এ টিকিট চুরি বানিজ্যের সাথে বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তারাও জড়িত। তাদেরকেও মাসিক এই চুরির ভাগ দেয়া হয়। আর তাই দিনের পর দিন এই চুরির ঘটনা ঘটলেও উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেননা।
এ বিষয় বরিশাল বিআইডব্লিউটিসি আঞ্চলিক কার্যালয় সরেজমিনে গেলে সেখানে থাকে আরো চমক। অফিস খোলা থাকলেও কোন প্রকার ছুটি না নিয়েই ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন ও সহ-ব্যবস্থাপক এমরান থাকেন তাদের বাসভবনে। দীর্ঘ ৫ দিন আঞ্চলিক কার্যালয়ে গেলে একই চিত্র দেখা যায়।
অভিযোগ রয়েছে, বরিশাল বিআইডব্লিউটিসি আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত ব্যবস্থাপক, সহ ব্যবস্থাপক সরকারি কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই মাসের পর মাস এভাবেই অফিস ফাঁকি দিচ্ছেন। আর তাদের অগোচরে কর্মচারীরা টিকিট বিক্রী করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছে। এ ব্যাপারে একাধিকবার কল করলেও ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন ও সহ ব্যবস্থাপক এমরান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জানাগেছে, ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিনের বদলির আদেশ আসলেও তিনি বরিশাল ত্যাগ করেননি। উল্টো বদলির আদেশ বাতিলের জন্য তদ্বির-লবিং শুরু করেছেন এবং এক প্রকার সফলও হয়েছেন।
এদিকে প্রান্তিক সহকারী মুমিদুল ইসলাম সজলের বিরুদ্ধে জানাগেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুমিদুল ইসলাম সজল শাস্তিমূলক বদলি হয়ে বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রান্তিক সহকারি হিসেবে যোগদান করেন মাত্র ৩ মাস পূর্বে। এর আগে তিনি পাটুরিয়া ঘাটে কর্মরত ছিলেন। সেখানে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে করতে একপর্যায়ে দুদকের হাতে আটক হন। পরে তাকে শাস্তিমূলক বদলি করে বরিশালে পোস্টিং দেয়া হয়।
এ বিষয় বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।