প্রকাশ: ২৭ মে ২০২১, ২০:৫৬
পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে সাইফুদ্দিন প্রামাণিক (৭০) নামের ওই বৃদ্ধ মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দশ মাস আগে উল্লাপাড়ার বেতবাড়ী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বিবাদীদের থানায় আসতে বলেন ওসি দীপক কুমার দাস। তবে ওই রাতে বিবাদীরা থানায় না আসায় ক্ষিপ্ত হন তিনি। এর জেরে বিবাদীদের নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন ওসি। ঘটনাগুলো বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওসি দীপক কুমার দাস।
বৃদ্ধ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। সাংবাদিকদের কাছে পুলিশি হয়রানির কথা বলাই আমার অপরাধ। এ কারণে গত ২৪ মে (সোমবার) রাতে সাদা পোশাকে পুলিশ ধরে থানায় নির্যাতন করে। এতে দুই হাতের তালু, মাথা, ডান হাত ও গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। পরে রাতেই উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে চালান দেয়। আদালত আমার অবস্থা ও জবানবন্দি নিয়ে জামিন দেন। এছাড়া শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। আমি সুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) উল্লাপাড়া আমলি আদালতে এ মামলা করি। আমি ওসির বিচার চাই।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোরশেদুল ইসলাম ও নিখিল কুমার ঘোষ বলেন, মামলাটি বৃহস্পতিবার আমলি আদালতে উপস্থাপনের পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাদীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের রেজিস্টার চিকিৎসককে নির্দেশ দেন। বাদীর পক্ষের আইনজীবী পৃথক দরখাস্তে ঘটনার জুডিশিয়াল তদন্ত দাবীর কারণে বাদীর বক্তব্য ও দাখিলকৃত কাগজাদি পর্যালোচনায় দরখাস্তটি জুডিশিয়াল তদন্তের জন্য গ্রহণ করেন এবং আদালত নিজেই অত্র দরখাস্তটি তদন্ত করবেন বলে আদেশ দেন।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস বলেন, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক আগের একটা মামলা ছিল। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে তাকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি।