স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কায় না করেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট ফেরি পারপার হচ্ছেন রাজধানমুখী কর্মজীবী মানুষ। জীবন-জীবিকার জন্য এমন ঝুঁকি নিয়েই কর্মস্থলে ফিরছেন অনেকে।সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়তে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা, কাজির হাট নৌরুটের ২০টির ফেরির মধ্যে সকাল ৬টা থেকে জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় যানবাহন পারাপারে চলছে ৩টি ফেরি। এতে গাদাগাদি আর সামাজিক দূরত্ব না মেনে ফেরিতে পার হচ্ছে মানুষ। ঘাট এলাকাতেও নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই।
হুড়াহুড়ি করে বিভিন্ন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরবাইকে চারগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।শকিম আলী, বাড়ি মাগুরা। লকডাউনের কারণে ঢাকার মালিবাগের দোকান বন্ধ তাই এখন খুলে দেয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন তিনি। তবে চারগুণ যানবাহনে ভাড়া বেশি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
পরীমনি নামের নারী জানান, আমাদের ঢাকায় কাপড়ের দোকান আছে। আমার স্বামী রোববাব গেছে। আমাদের দোকানের কর্মচারীসহ বাড়ায় রান্নাসহ অন্যান্য সমস্যা হওয়ায় ছেলেমেয়েকে গ্রামের বাড়ি রেখে এই প্রাইভেটকারে ৫ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে যাচ্ছি। প্রচণ্ড রোদে কষ্ট হচ্ছে।পাটুরিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন জানায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় রাতের দিকে ৩ সহস্রাধিক যানবাহন পারাপার হয়েছে। সকাল ৭টার পর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীর চাপ আছে।
#ইনিউজ৭১/জিহাদ/২০২১