
ফেরিঘাটে বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২১, ১২:১৯

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে গত ১৪ এপ্রিল কঠোর লকডাউন দেয় সরকার। তবে মানুষের জীবন-জীবিকার তাগিদে আগামী ২৮ এপ্রিলের পর দেশে আর লকডাউন থাকছে না।
এর আগে রোববার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর থেকেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে লকডাউনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ফেরি পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় রাতে খুলনা থেকে আসা নাইম নামে একজন জানান, দোকানপাট খুলতে হবে। ঈদকে সামনে রেখে সরকারে সকল নিয়ম মেনে ব্যবসা করবো।রাজবাড়ী থেকে ফরহাদ নামে একজন বলেন, অনেকদিন ধরে দোকান বন্ধ রয়েছে। ঢাকায় গিয়ে দোকান খুলবো। এজন্য ঢাকায় চলে যাচ্ছি। দোকানের যে কর্মচারী আছে তাদেরও চলে আসার জন্য বলেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাকিদিন গুলো ব্যবসা করবো।
তবে কয়েকজন যাত্রী বলেন, দেশের ২১ জেলার মানুষ এই নৌরুট ব্যবহার করে। লকডাউনের সময় তিনটি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। গাদাগাদি করে ফেরিতে করে নৌরুট পার হতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল যাত্রীদের জন্য লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। সেটি হলে সামাজিক দূরত্ব কিছুটা মানা সম্ভব হতো।

ফরিদপুর অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক মানুষ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। লকডাউন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তাদের বাড়িতে আসা ঠিক হয়নি। তবে পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য।
#ইনিউজ৭১/জিহাদ/২০২১


