নওগাঁর ধামইরহাটে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধে সৃষ্ট শত্রুতার বলি হলো ইরি-বোরো ধান। প্রতিপক্ষরা রাসায়নিক স্প্রে করে ভুক্তভোগী ৪ সহদর ভাইয়ের ৫৪ শতাংশ জমির ধান সম্পূর্ণ বিনষ্ট করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ধামইরহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা। ঘটনাটি উপজেলার ঘাসিপুর গ্রামে।
বাদী আশরাফ আলীর ছেলে ছাকোয়াত হোসেন কর্তৃক লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঘাশিপুর গ্রামের ছমির উদ্দিনের সাথে স্থানীয় প্রতিবেশী জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় চলতি মাসের ১১ এপ্রিল রাত ১১ টার দিকে ছাকোয়াত হোসেন, এবাদত হোসেন, শাহাদাত সহ ৪ ভাইয়ের এই জমিতে প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম ও তার শশুর ছমির উদ্দিন এস এ ৩৩ ও আর এস ১৮৯ নং খতিয়ান ভুক্ত হাল ৪টি দাগের ৫৪ শতক জমিতে স্প্রে করে
সম্পূর্ণ ধান বিনষ্ট করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। মধ্যরাতে বিবাদীকে দেখতে পেয়ে বাধা দিলে বাদী ছাকোয়াতকে ধাওয়া করে নজরুল গংয়ের লোকজন। ১৩ এপ্রিল সকালে জমির ধান বিবর্ণ দেখে ভুক্তভোগী এবাদত, ছাকোয়াত ও ছামসুলগং হতাশায় পড়েন, পরদিন বুধবার ঘটনাস্থলে একদল সাংবাদিক গেলে
তারা জানান, ১৯৭৫ সাল থেকে ক্রয়সূত্রে এই জমি আমরা চাষাবাদ করছি, শত্রুতা করে আমাদের জমির ধার নষ্ট করে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করেছে প্রতিপক্ষরা। ১৩ এপ্রিল রাতে ধামইরহাট থানায় ডিউটি অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ প্রদান করেন বাদী ছাকোয়াত হোসেন দিং।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার শশুরের সাথে অভিযোগকারীদের দ্বন্দ রয়েছে, তবে কার জমিতে কে বিষ দিয়েছে তা আমি জানি না, আমাকে শত্রুতা করে হয়রানীর চেষ্টা করছে।’ধামইরহাট থানার ওসি আবদুল মমিন জানান, সম্প্রতি জমি জমা সংক্রান্ত অভিযোগগুলো তদন্তে গেলে সঠিক কোন তথ্য ও স্বাক্ষ্য প্রমান সেভাবে পাওয়া যায় না
দেখা যায়, যার জমি তার নামেই অনেক সময় অভিযোগ পাওয়া যায়, লকডাউনে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা কাজ করছি, ছাকোয়াত হোসেনের অভিযোগটি আমি এখনও দেখিনি, পুরো ঘটনা প্রকৃত ভাবে না জেনে কোন মন্তব্য করতে পারছি না।
#ইনিউজ৭১/তুষার/২০২১