প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২১, ১৯:০
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের আলম মোর্শেদের (৬৭) এক টাকার চায়ের দোকান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসে ২০ বছর ধরে মাত্র এক টাকায় এক কাপ চা বিক্রি করে যাচ্ছেন।
আলম মোর্শেদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসে ২০ বছর ধরে এক কাপ চা বিক্রি করছেন মাত্র এক টাকায়। দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মুজিবুল হক ফরাজীর ছেলে তিনি। এতো কম দামে চা বিক্রির কারণে তাদের গ্রামটি কেউ অনেকেই ‘মুজিবনগর’নামে ডাকে।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) মুজিবনগরে এক টাকার চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, পাকা রাস্তার এক পাশে ছোট দোকান। সামনে ছড়ানো-ছিটানো কয়েকটি বে । দোকানে কয়েকটি চায়ের ফ্লাস্ক ও মুদিপণ্য সাজানো। বেশ কয়েকজন লোক চা পান করছেন। সেখানে মো. আবুল কালাম আজাদ ও মো. নাইম নামে দুই তরুণ জানান, তাদের বাড়ি অন্য এলাকায় মুজিবনগরে এক টাকায় চা পাওয়া যায়, এ কথা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তাই নিজ চোখে দেখতে এসেছেন তারা।
দোকানে চা পান করছিলেন মুজিবনগরের স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাছনাইন। তিনি বলেন, ‘২০ বছর ধরে আলম মোর্শেদের চা খাচ্ছি। বর্তমানে আলম মোর্শেদের দোকানে দৈনিক ৫০০ কাপ চা বিক্রি হয়।’ তিনি জানান, আলম মোর্শেদ সবাইকে কম দামে ভালো চা খাওয়ান। তার উছিলায় এখন সবাই আমাদের গ্রামকে “মুজিবনগর” নামে চেনে। এতে তারা খুশি।
আলম মোর্শেদ জানান, ২০ বছর ধরে তিনি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে এ দোকানে ১ টাকায় চা বিক্রি করে আসছেন। তিনি বর্তমানে অনেক ধার-দেনা হয়ে নিজের চিকিৎসাও করাতে পারছেন না। তার এই ৬৭ বছর বয়সে বয়স্ক ভাতাও মেলেনি। এতো কম দামে চা বিক্রি করে সংসার চলে কীভাবে, জানতে চাইলে আলম মোর্শেদ জানান ২০ বছর আগে দুই হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে জাঁকজমক ভাবে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তখন চিনির কেজি ছিল কম। ১ টাকায় চা বিক্রি করে প্রতি কাপে ভালো লাভ হতো। এখন চিনির ধাম বেড়ে গেছে চা-পাতার দামও অনেক বেশি। এতে দিন দিন লোকসান গুণতে হয়। তাতেও তিনি এক টাকায় চা বিক্রি করবেন।