প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:২০
বাংলাদেশ ষড়ঋতুরদেশ। গ্রীষ্ম ,বর্ষা ,শরৎ , হেমন্ত ,শীত ও বসন্ত এ ছয় ঋতুর আবর্তন বাংলাদেশকে বৈচিত্যময় করে তোলে । এখন চলছে ঋতুরাজ বসন্তকাল। বর্ষা মৌসুম যাবার পর নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে যায়। আর এ সময় মাছ ধরতে ব্যস্ত হয়ে পরে নদীর সাথে সম্পর্ক রয়েছে যাদের পরক্ষ ভাবে।
মাছে-ভাতে বাঙালি, খেতাব পাওয়া এদেশের গ্রাম-বাংলার প্রতিটি মানুষের শৈশবকালের একটি পরিচিত নাম ‘ছিপ-বড়শি’। বর্ষকাল এলেই প্রতিটি খাল-বিল, নদ-নদী-নালা, হাওর-বাওর কানায় কানায় ভরে উঠে, আর এ সময় গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ছিপ-বড়শি দিয়ে মাছ শিকার।
এমন চিত্র চোখে পড়ছে উল্লাপাড়া উপজেলার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ফুলজোড় নদীতে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামের ফুলজোড় নদীর মধ্যে ৬টি নৌকায় ছিপ বড়শি নিয়ে বসে আছে মাছ শিকারীরা। মাছ শিকারের জন্য অনেকটা নিরভে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন।
এসময় কথা হয় স্থানীয় মাছ শিকারী শাহজাহানপুর গ্রামের কোমল,ছানোয়ার,ওমর ও শহীদের সাথে তারা জানান, বর্ষার পানি চলে যাওয়ায় নদীতে এখন পানি অল্প। আর নদীও হারিয়েছে তার যৌবন। তাই সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত আমরা নদীর মধ্যে ছিপ বড়শি ফেলে মাছ ধরি। এখন মাছ ধরার কাজে অনেকটাই ব্যস্ত। ছিপ দিয়ে মাছ শিকার করা অনেক ধৈর্যের কাজ। তবু জীবিকার তাগিদে আমরা মাছ শিকার করে থাকি।
আগে এক সময় নদীতে বড়শি দিয়ে পুঁটি, টেংরা, বাইন, চ্যাঙ, শোল,বেলে, পাবদা, কৈ, মাগুর, বোয়াল এসব মাছ পাওয়া যেত কিন্তুু এসব মাছ এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এগুলো মাছ এখন আর তেমন চোখে পরে। তার পরো দিন শেষে যে মাছ পাই তা আমাদের এই শাহজাহানপুর বাজারে বিক্রি করে যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চালাতে হয়।
তবে নদীতে অনেক প্রভাবশালীরা নদী ঘের দিয়ে রাখে। আর এই ঘের দেবার ফরে আমরা তেমন মাছ ধরতে পারি না। প্রভাবশালীদের এমন দখল উদ্ধার করারজন্য উদ্যোগ নিবে সংশ্লিষ্ঠরা এমন টাই মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এবিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা মৎস কর্মকর্তা বায়েজীদ আলম জানান,বড়শি দিয়ে মাছ ধরা এটা আমাদের এতিহ্যমান দৃশ্য।নদীতে উন্মুক্ত জায়গায় তারা মাছ শিকার করতে পারে। তবে অভায়শ্রমে মধ্যে মাছ শিকার করা যাবে না। আর শুকনো মৌসুমে যারা নদীর তলদেশে নেট অথবা বানা দিয়ে ঘের দিয়ে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা মৎস অফিস থেকে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।