প্রকাশ: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:০
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে তরুণীর বিবস্ত্র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়ন।আজ সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করে জবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা।
মানববন্ধনে ১০ম ব্যাচের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অঞ্জন রাণা গোস্বামী বলেন, মীম হত্যার দায় এই বিদ্যমান ব্যবস্থার। ভাষার মাসে স্বাধীনতার এত বছর পরও আজ আমার বোন মীমের রক্তে শহীদ মিনার রঞ্জিত। এর দায় রাষ্ট্র কোনো ভাবেই এড়াতে পারে না।
মানবন্ধনে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, এই ঘটনা নতুন কিছু নয়, এর আগেও দেশে এধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। বিচারহীনতায় এদের অন্যায় দিনদিন বেড়ে চলছে। সরকারের দায়সারা মনোভাব এবং কথিত তদন্ত কমিটি ও ক্ষমতার অপব্যবহার এর জন্য দায়ী। মীমের এমন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। মীমের এ পরিণতি সমগ্র বাংলাদেশকেই লজ্জিত করে। আমরা এই ধারাবাহিক হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
এবিষয়ে জবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ১০ তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী কেএম মুত্তাকী সমাপনী বক্তব্যে বলেন, মীম হত্যাকান্ড কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতরেও তনুকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। এমন ঘটনাও আমরা দেখেছি। এই ধরনের ঘটনাপ্রবাহ সমাজ এবং রাষ্ট্রে বিরাজমান বিচারহীনতা এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের কারণেই সংগঠিত হচ্ছে। এবং এই অবক্ষয়ের দায় শাসকশ্রেণীর।
দেশের সর্বস্তরে নারী পুরুষ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামেকে আঘাত করতে হবে। আঘাতের মধ্যে দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের লড়াইকে বেগমান করতে হবে।নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আসমানী আশার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্য চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাফিয়া নূরসহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
এসময় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে মীম নয় বিবস্ত্র বাংলাদেশ, শহীদ মিনারের কান্না শুনতে কি পাও? বিচারহীনতার সংস্কৃতি, রুখে দাড়াও বাংলাদেশ সহ নানা স্লোগান লেখা পোস্টার নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা। উল্লেখ্য, রোববার ৩১ জানুয়ারি ভোরে শাহবাগ থানা পুলিশ মীমের মরদেহটি উদ্ধার করে।