আশাশুনি হাটে কৃষি ডাক্তারদের ফসল ক্লিনিকের নতুন উদ্ভাবন

আশাশুনি উপজেলার কৃষকরা এখন প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছেন ফসলের ‘ডাক্তারদের’ কার্যক্রমের মাধ্যমে। ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি ‘অ্যাডাপটেশন ক্লিনিক’ চালু করে কৃষকদের ফসল-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান সরাসরি তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আশাশুনি বাজারে ফসল ক্লিনিকের কার্যক্রমে কৃষিবিদ শাহিন হোসেন রোগ নির্ণয়, কারণ ব্যাখ্যা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদান করেন।

ফসলের রোগ এবং ক্ষতির তথ্য জানানো ছাড়াও, কৃষকরা তাদের রোগাক্রান্ত ফসল, গাছের পাতা ও শাখা নিয়ে ক্লিনিকে আসেন। ক্লিনিকে কৃষিবিদরা সরাসরি কৃষকদের ফসলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন, রোগ শনাক্ত করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র সরবরাহ করেন। এই ভ্রাম্যমান ক্লিনিকের মাধ্যমে উপজেলার সদর, বুধহাটা ও বড়দল ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে ১৫ দিন পরপর ফসল সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে।

ব্র্যাকের এলাকা ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, “কৃষকরা ফসলের সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন, শুধু তাই নয়, তারা এখন চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য একটি স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছেন। এটি আমাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং কৃষি ব্যবস্থায় একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”

কৃষকরা জানান, এই সেবা তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। আগে যেমন মানুষ রোগ হলে ডাক্তারকে খুঁজে যেত, এখন তাদের ফসলও ‘ডাক্তার’ পাচ্ছে। কৃষকরা ফসলের রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা পেয়ে সন্তুষ্ট। এই কার্যক্রম শুধু রোগ নিরাময়েই সীমাবদ্ধ নয়, বরং কৃষকের আস্থা ও আধুনিক কৃষি ব্যবস্থায় সচেতনতা বৃদ্ধি করছে।

এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে স্থানীয় কৃষি খাতের জন্য বড় সহায়ক হবে। হাট-বাজারের আঙ্গিনায় বসা এই ক্লিনিক ভবিষ্যতে সমগ্র উপজেলার কৃষি উৎপাদন ও ফসলের মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।