মাগুরার একটি নির্মম ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ ঘোষণা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে একটি শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটির মা মামলার এজাহারে অভিযোগ করেছেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিক্যাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। ৭ মার্চ তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা ধর্ষণের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা যতদিন পর্যন্ত তাদের দাবির বাস্তবায়ন দেখতে না পাবেন, ততদিন তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ থেকে উত্থাপিত দুটি প্রধান দাবি হলো—
এক. অনতিবিলম্বে ধর্ষণবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে সকল ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
দুই. আট বছরের শিশুর ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টাকারীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।
এ ঘটনায় আন্দোলনকারীরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও নারীবিদ্বেষী মনোভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ এর দাবিগুলি একটি দৃঢ় বার্তা হিসেবে প্রকাশ পায় যে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে জনগণের সম্মিলিত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, যতদিন না ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, ততদিন তারা তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।
মাগুরার এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন তদন্তে নেমে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কাজ শুরু করেছে। তবে, এই ধর্ষণের ঘটনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরছে।
শিশুটির ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দেশব্যাপী ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এবং এখন এটি নিয়ে জনগণ থেকে শুরু করে প্রশাসন পর্যন্ত সকলের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।