নতুন বছরের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে। চলতি শীত মৌসুমে এই জেলার ওপর দিয়ে ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের দাপট দেখা যাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করেছে।
শুক্রবার ভোরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় এটি কমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত ১৮ ডিসেম্বর এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, শীতের সঙ্গে হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশা মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সড়কপথে যানবাহনগুলোকে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের প্রকোপে ছিন্নমূল, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষজন চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
দিনমজুর হোসেন আলী বলেন, কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজ করতে পারছি না। পরিবারের জন্য যা আয় করি তা দিয়ে গরম কাপড় কেনার সুযোগ নেই। এখনও সরকারি বা বেসরকারি সাহায্য পাইনি।
পাথর শ্রমিক জুয়েল বলেন, ভোরে কাজে বের হতে হলে কুয়াশার মধ্যেই শিশিরে ভিজতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে নদীতে পাথর তুলতে খুব কষ্ট হয়। কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরলে সর্দি-জ্বরে ভুগতে হয়।
এদিকে, শীতের কারণে শীতজনিত রোগব্যাধি বাড়ছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ জানান, শুক্রবার ভোরে রেকর্ড করা তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে, যা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
উত্তরাঞ্চলের এমন শীতের প্রকোপ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের দ্রুত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।