ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে এবং বৃহস্পতিবার রাতে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের হাসাড়া এলাকায় ঢাকামুখি লেনে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে একটি যাত্রীবাহী মিনিবাস ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় আব্দুল্লাহ পরিবহণের হেলপার শ্রীনগর উপজেলার মো. জীবন (৪৪) এবং বাসযাত্রী সিরাজদিখান উপজেলার মো. রায়হান (২৭) মারা যান। নিহতদের মরদেহ শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে মিনি বাসটি কাভার্ডভ্যানটিকে দেখতে না পেয়ে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ছাদ উড়ে যায়। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল কাদের জিলানি জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, শুক্রবারের দুর্ঘটনায় ট্রাক ও বাস উভয়টি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে।
এর আগে, গত সপ্তাহে একই এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসের চাপায় নারী ও শিশুসহ দুই পরিবারের ছয়জন নিহত এবং চারজন গুরুতর আহত হন। এসব দুর্ঘটনা এক্সপ্রেসওয়ের সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘন কুয়াশায় সড়ক ব্যবস্থাপনার অভাব এবং যানবাহনের অপ্রতুল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।