ডাবিং রুমে খুনসুটি : সামিরা ও শাবনূরের উপস্থিতিতে সালমানের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৫ অপরাহ্ন
ডাবিং রুমে খুনসুটি :  সামিরা ও শাবনূরের উপস্থিতিতে সালমানের মৃত্যু

ঢাকার নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বি-১১ নম্বর ফ্ল্যাটে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শহীদ চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন, জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহের মৃত্যু ঘটে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন এই ক্ষণজন্মা তারকা। সালমান শাহের মৃত্যুর বিষয়টি আজও রহস্যময়, এবং এটি নিয়ে নানা মতামত ও তদন্ত চলছে।


সালমান শাহের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার পরিবার ও গণমাধ্যমের মধ্যে বিতর্কিত বক্তব্য উত্থিত হয়েছে। সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা দাবি করেছেন যে, তার স্বামীর মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা। তবে সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী বারবার দাবি করেছেন যে, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় হত্যা মামলা না নেওয়ায় পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।


নতুন করে আলোচনায় এসেছে সালমান শাহের সম্পর্কের বিষয়। সামিরা সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, সালমান শাহ এবং শাবনূরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি দাবি করেছেন যে সালমান শাহ নিজেই তার কাছে এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন। এই সম্পর্কের কারণে সালমান শাহের ব্ল্যাকমেইলের শঙ্কা ছিল বলেও অভিযোগ করেছেন সামিরা।


১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, সালমান শাহ এফডিসিতে 'প্রেমপিয়াসী' ছবির ডাবিং করতে যান। সেখানেই তার স্ত্রী সামিরা, সালমান ও শাবনূরের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই দিন সালমান শাহের সঙ্গে গাড়িতে গিয়ে এবং একাধিক ঘটনায় সামিরা ও সালমানের পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট প্রকাশ পায়।


এদিকে, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদনেও সালমান শাহের মৃত্যুর পেছনে তার শাবনূরের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি উঠে এসেছে। পরবর্তীতে, তার মা নীলা চৌধুরী অভিযোগ করেছেন যে, পুলিশ সালমান শাহের মৃত্যু মামলাকে অপমৃত্যু হিসেবে নথিভুক্ত করে রেখেছিল এবং এটি হত্যাকাণ্ডে রূপ নিলে তদন্ত হবে এমন দাবি করেছিল।


সালমান শাহ ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটান এবং পরে ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘প্রেমযুদ্ধ’ সহ একাধিক হিট সিনেমায় অভিনয় করেন। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ আজও প্রমাণিত হয়নি, যা ভক্তদের মনে তৈরি করেছে নানা প্রশ্ন ও কৌতূহল। সালমান শাহের মৃত্যু নিয়ে আলোচনা, তদন্ত ও বিচার এখনো চলমান, এবং এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে।