লালমোহনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভার্মি কম্পোস্ট সার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি - ভোলা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ০২:১০ অপরাহ্ন
লালমোহনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভার্মি কম্পোস্ট সার

ভোলার লালমোহনে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভার্মি কম্পোস্ট সার। যা স্থানীয়ভাবে কেঁচো সার হিসেবে সুপরিচিত। ২০১৫ সালে উপজেলা কৃষি অফিসের এসএসিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ১ দিনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ২০ জন কৃষক-কৃষানীকে নিয়ে প্রাথমিকভাবে শুরু হয় এ সার উৎপাদন। বর্তমানে উপজেলায় ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারীর সংখ্যা রয়েছে তিন শতাধিক। যারা গোবর, গৃহস্থলীর আবর্জনা ও কেঁচো দিয়ে এ সার উৎপাদন করছেন। পরিপূর্ণ সার হতে সময় লাগে ২০-২৫ দিন। আর প্রতি কেজি ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো) সার বিক্রি করা হচ্ছে ১০-১৫ টাকা। প্রতি কেজি এ সার উৎপাদন করতে কৃষকদের খরচ হয় মাত্র ২-৩ টাকা।


ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরশক্তি ও পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, পোকা-মাকড়ের আক্রমন কম হয়, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস পায়, পরবর্তী ফসলে সারের পরিমান তুলনামূলক কম প্রয়োজন হয় ও এ সার ব্যবহারে পরিবেশ থাকে দূষণমুক্ত।


কয়েকজন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী জানান, প্রথমে কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ সারের উৎপাদন শুরু করি আমরা। বর্তমানে এ সারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যা জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে বিক্রি করা যাচ্ছে। এখানে সল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। সরকারিভাবে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে এ সার উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।


এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম শাহাবুদ্দিন বলেন, আমাদের এসএসিপি প্রকল্পের মাধ্যমে এখানের কৃষক-কৃষানীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে উদ্বুদ্ধকরা হয়। যার ফলে বর্তমানে এ উপজেলায় ব্যাপক জনপ্রিয় উঠছে ভার্মি কম্পোস্ট সারের উৎপাদন ও ব্যবহার। এছাড়াও ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন টেকসই করতে ভার্মিকম্পোস্টর সেপারেটর সরবারহ ও ঋণ সুবিধা প্রাপ্তির জন্য সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।