মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) কর্তৃক গত ২১ আগস্ট ২০২২ থেকে ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত আটককৃত ৬৮,৪১,০৩৫টি ভারতীয় নাসির পাতার বিড়ি এবং ৩৩,৬০০টি ভারতীয় সিগারেট আনুষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন সদরে একটি বিশেষ পর্ষদের মাধ্যমে এগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ধ্বংসকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য এক কোটি আটত্রিশ লক্ষ সাতান্ন হাজার আটশত সত্তর টাকা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপ-কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সোহাগ মিলু এবং শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
ধ্বংসকৃত বিড়ি এবং সিগারেটগুলো ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা হয়েছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অভিযানে এগুলো আটক করা হয়। বিজিবি সূত্র জানায়, এসব অবৈধ মালামাল সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয়েছিল। বিজিবি সীমান্তে অবৈধ কার্যক্রম রোধে নিরলস কাজ করছে।
কাস্টমস বিভাগের উপ-কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ বলেন, অবৈধভাবে আসা এসব বিড়ি ও সিগারেট দেশের অর্থনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এগুলো ধ্বংস করে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ স্থাপন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া জানান, সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সর্বোচ্চ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে এবং জনগণকে সচেতন হতে হবে যেন তারা কোনোভাবেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না হয়।
ধ্বংসকরণ কার্যক্রমের সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন এবং পরিবেশগত দিক থেকে এ ধ্বংসকরণ কার্যক্রমের সঠিকতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব আলম পাটোয়ারী বলেন, এই ধরনের কার্যক্রম আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের অঙ্গীকারের প্রমাণ। অবৈধ পণ্য ধ্বংসের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
ধ্বংসকরণের এই উদ্যোগে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন এবং তারা এ ধরনের কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ধ্বংসকৃত অবৈধ পণ্য রোধে বিজিবি ও অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর কার্যক্রম জনসচেতনতায় ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।