প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৮
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশের উপর মৌসুমী বায়ুও সক্রিয় রয়েছে, যার ফলে বিভিন্ন বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। এতে টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমের অনুভূতি কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের ১৪ জেলায় ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে, যা স্থানীয়দের নিরাপত্তা ও জরুরি ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করবে।
শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি তেমন স্থিতিশীল ছিল না। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, যেখানে ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেই সময় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ঈশ্বরদীতে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা দেশের অভ্যন্তরে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর পরামর্শ দিয়েছে, নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থানরত মানুষ ও জেলেরা সতর্ক থাকুন এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত আপডেট নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লঘুচাপের কারণে দক্ষিণপূর্বাঞ্চল ছাড়াও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। কৃষি, পরিবহন ও অন্যান্য সেক্টরের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে, তাই স্থানীয় প্রশাসন ও মানুষদের প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
আবহাওয়া সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে লঘুচাপের অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। দেশব্যাপী ভারী বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা থাকায় জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
প্রকৃতিতে এমন লঘুচাপ ও মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা স্বাভাবিক হলেও, আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব পড়তে পারে। তাই সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।