প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ১১:৩২
দেশজুড়ে বৃষ্টি এবং ঝড়ো আবহাওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার সকালে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বর্তমানে মধ্য প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর সঙ্গে একটি শাখা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত, যা মৌসুমী বায়ুকে বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। দুপুর ১টা পর্যন্ত যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এজন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ৬টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক স্থানে এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো এবং হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের কিছু স্থানে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই বৃষ্টিপাতের কারণে নগরজীবনে বিঘ্ন দেখা দিতে পারে এবং নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তবে সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এই ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতি আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদরা সাধারণ মানুষকে ঝড়ো হাওয়া চলাকালে সতর্ক থাকার এবং অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিশেষ করে নৌচলাচল ও মাছ ধরার কাজে নিয়োজিতদের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।