প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১১:৪৪
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি ও বাতাসের সংমিশ্রণে পরিবেশ শীতল ও মনোরম অবস্থায় রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের অন্যান্য স্থানেও দিনের বেলা বৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টি দেশের চার বিভাগে বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। লঘুচাপটি বর্তমানে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপপ্রবাহ বজায় থাকলেও মাসের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। শেষ সপ্তাহে বৃষ্টি প্রবণতা বেড়েছে, যা এখন লঘুচাপের প্রভাবে আরও বাড়ছে।
আজ ভোরে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, আজ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকালও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তবে শনিবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসতে পারে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টি হতে পারে।
লঘুচাপের প্রভাবে বিশেষ করে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিকে অতি ভারী বৃষ্টি বলা হয়। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, বর্তমানে দেশের আবহাওয়া বেশিরভাগ সময় মেঘলা এবং বৃষ্টির কারণে শীতল থাকবে। শহরাঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে গরমের প্রকোপ কিছুটা কমে যাওয়ার আশায় সবাই আনন্দিত।
এদিকে, বৃষ্টির কারণে দেশের কৃষি অঞ্চলেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমের জন্য বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা কৃষকদের জন্য শুভ সংকেত হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টির ফলে কোথাও কোথাও বন্যার আশঙ্কা থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সার্বিকভাবে, দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টির সাথে শীতল বাতাস দেশের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়ায় পরিবর্তন এনেছে, যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলছে। আগামী কয়েক দিন আবহাওয়ার আপডেট পেতে সবাই সচেতন থাকতে হবে।