সারাদেশে চলমান যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আরও ৫৮৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অভিযানের আওতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ২৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি বিভিন্ন মামলায় আরও ৯৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে বেশ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি কাঠের বাঁটযুক্ত পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন, ১২টি গুলি ও ১টি মালবাহী ট্রাক।
৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ দেশব্যাপী পরিচালিত একটি বিশেষ অভিযান। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। এই হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশজুড়ে এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা এবং সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি পদক্ষেপ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, শুধুমাত্র অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতেই এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে এবং নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না।
অপারেশন ডেভিল হান্ট চলমান থাকায় ভবিষ্যতে আরও গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।