বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান মারা গেছেন। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার ব্যক্তিগত সহকারী নুরুল আজিম হিরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নুরুল আজিম জানান, আবদুল্লাহ আল নোমান অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন এবং বিএনপি সরকারের সময় মৎস্য ও খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্র রাজনীতি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা নোমান ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে শ্রমিক রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং ১৯৭০ সালে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন।
১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ন্যাপের রাজনীতিতে ফিরে আসেন। পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি চট্টগ্রামের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিএনপির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়।
তার মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। তারা নোমানের রাজনৈতিক জীবন ও দেশের জন্য তার অবদানকে স্মরণ করেছেন।
আবদুল্লাহ আল নোমানের জানাজা ও দাফনের বিষয়ে পারিবারিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে তার ঘনিষ্ঠজনরা। দলের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।