সম্প্রতি বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতের দখলে থাকা কোদালিয়া নদীর ৫ কিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। বিজিবির দাবি, এই নদীর সম্পূর্ণ এলাকাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত। তবে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ এ দাবি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বিএসএফ বিজিবির এ কর্মকাণ্ডকে ভিত্তিহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে আখ্যা দিয়েছে। বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোদালিয়া নদীর আন্তর্জাতিক সীমান্ত সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত এবং সেখানে কোনো ধরনের পরিবর্তন ঘটেনি।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোদালিয়া নদীর প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন মানচিত্র পর্যালোচনা করা হয়। এ বিষয়ে বিএসএফের অবৈধ দখলদারিত্বের প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।
বিএসএফ তাদের বিবৃতিতে জানায়, সীমান্তে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন দুই বাহিনীর মধ্যকার সৌহার্দ্য নষ্ট করতে পারে। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সীমান্তের সুরক্ষা ও অখণ্ডতা রক্ষার জন্য তারা সর্বদা সতর্ক থাকবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই কোদালিয়া নদীর ৫ কিলোমিটার এলাকায় বিএসএফের আধিপত্য ছিল। বিজিবি জানিয়েছে, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে তারা এ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে যন্ত্রচালিত বোট এবং অল টেরেইন ভেহিকেল (এটিভি) ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিজিবির দাবি করা এ সাফল্য সীমান্তে উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যকার উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।