পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের হাতে শিকার হয়েছে কৃষক জাহাঙ্গীরের সবজি ক্ষেত। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের মিশ্রীপাড়া গ্রামে এ ঘটনায় পাঁচ শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা। এতে কৃষক জাহাঙ্গীরের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি রাত বারোটার দিকে নিজের ক্ষেত পাহারা দিয়ে বাড়ি ফেরেন। সকালে এসে দেখেন তার সমস্ত ক্ষেতের গাছ কাটা। রোদের তাপে সব গাছের পাতা শুকিয়ে গেছে। তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে লাউ, চিচিঙ্গা, শসা, পুইশাকসহ বিভিন্ন প্রকারের শাকসবজি চাষ করেছিলেন।
জাহাঙ্গীরের বড় ভাই আঃ জলিল বলেন, “রাত্রে আমরা ক্ষেত পাহারা দিয়ে বাড়ি চলে গেছি। সকালে এসে দেখি ঝুলন্ত লাউগুলো মাঝ থেকে কাটা রয়েছে। প্রথমে বুঝতে পারিনি, পরে দেখি গাছগুলো গোড়া থেকে কেটে ফেলা হয়েছে।” তিনি জানান, গাছগুলো একটু রৌদ্রে ওঠার পরই আস্তে আস্তে নেতিয়ে পড়তে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আল আমিন বলেন, “জাহাঙ্গীর হোসেন সবজি উৎপাদন করে সংসারের ব্যয় বহন করেন। তার ডাক চিৎকার শুনে আমরা ক্ষেতে এসে দেখি সবজি ক্ষেতের সকল গাছ কাটা।” তিনি মন্তব্য করেন, “ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকতে পারে, কিন্তু তার সবজি ক্ষেত কেটে ফেলায় তার রুটি-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।”
স্থানীয় মেম্বর শওকত আকন ঘটনাটি শুনে বলেন, “আমি থানা পুলিশ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। যারা এ কাজটি করেছে তারা ঘৃণিত কাজ করেছে।” তিনি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের প্রতি সমবেদনা জানান এবং শাস্তির দাবি করেন।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসাইন বলেন, “বিষয়টি আমাকে অবহিত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষককে সরকারি সহায়তা প্রদান করার আশ্বাস দিয়েছি।”
এভাবে কৃষকের সাথে এমন অমানবিক আচরণ সমাজে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যা কৃষি উৎপাদন এবং খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। জনগণের দাবি, দ্রুত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।